নেত্রকোনার পূর্বধলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামি আশিক মিয়া ওরফে জয়তুলকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্বধলার ঘাগড়া এলাকা থেকে নেত্রকোনা সিআইডি পুলিশ ও পূর্বধলা থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আশিক মিয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে। তিনি নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলার কলুন্ডা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সিআইডি পুলিশ জানায়, আশিক মিয়া ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর রাতে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল চালক শহিদুল মিয়াকে নিয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। রাত পৌনে একটার দিকে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের ঝানঞ্জাইল এলাকায় শহিদুলকে কুপিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান আশিক। এ ঘটনায় শহিদুলের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে নেত্রকোনা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহজাহান তদন্ত করছেন। গত মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি পুলিশ পূর্বধলার চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকা থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় আশিক সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাফিজকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এসআই মাফিজকে প্রত্যাহার করে সিআইডি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। আর আশিক মিয়ার নামে পূর্বধলা থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমদাদুলের নেতৃত্বে ও পূর্বধলা থানা-পুলিশের সহযোগিতায় ঘাগড়া এলাকা থেকে আশিককে হাতকড়া পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে পূর্বধলা থানা হাজতে রাখা হয়।
শনিবার সকালে এ বিষয়ে নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুরশেদা খাতুন বলেন, আসামি আশিক মিয়াকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
২০১৭ সালের ৫ মে থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া খুলে ও হাতকড়াসহ অন্তত সাতজন আসামি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য পরে বিভিন্ন সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।