ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মশাখালী রেলষ্টেশন এলাকায় শুক্রবার সকালে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এনামুল (১২) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। তার বাড়ি পূর্বধলা উপজেলায়। তার পিতার নাম মোখলেছ মিয়া। মোখলেছ মিয়া জয়দেবপুর শহরে রিক্সা চালায়।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন মশাখালী ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। মশাখালী ষ্টেশনে দেওয়ারগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের সাথে ঢাকাগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিং হয়। যাত্রা বিরতি শেষে মশাখালী রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি ছাড়ার পরপরই মশাখালী রেলক্রসিং এর সামনে রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে ১৫ গজ দুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় এনামুল। এ সময় গুরুতর আহত এই কিশোর প্রায় দেড়ঘন্টা রেললাইনের উপর পড়েছিল। খবর পেলেও রেলওয়ে কিংবা রেল পুলিশের কোন লোকজন তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। দেড়ঘন্টা মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে সে বলে যায় তার নাম এনামুল, তার পিতার নাম মোখলেছ মিয়া, তাদের বাড়ি পূর্বধলা উপজেলায়। তার পিতা জয়দেবপুর শহরে রিক্সা চালায়। পিতার কাছ থেকে সংসারের টাকা আনতে সে দুইদিন আগে জয়দেবপুর গিয়েছিল। প্রায় দেড়ঘন্টা মৃত্যুর সাথে লড়াই করে সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিনা চিকিৎসায় সে মারা যায়। দুপুর একটার দিকে গফরগাঁও রেলপুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মিয়া জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে গফরগাঁও রেলষ্টেশন এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে এক যুবককে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুর্বত্তরা।