ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ সব দলেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তরুণরা। বিভাজনের রাজনীতি নয়, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনাই হবে তাঁদের চ্যালেঞ্জ।
আলাপচারিতা সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীরা জানায়, বেশিরভাগ তরুণ রাজনীতিবিদ এক জায়গায় একমত যে, বিভাজন দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে বসে থাকলেও চলবে না। এখন প্রয়োজন পরিবর্তন। তবে এসব কাজ করতে গিয়ে তাঁরা দলের নিয়ম-কানুন ভেঙে ফেলতে চান না। বরং নতুন ও পুরানের সংমিশ্রণ ঘটাতে চান। তরুণ রাজনীতিবিদরা মনে করেন শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মাঝে ভ‚বনকুড়া ইউনিয়নে মোঃ আব্দুল জলিল ও মোঃ আব্দুল জব্বার, জুগলী ইউনিয়নে আবুল কাশেম ফজলুল হক, কৈচাপুর ইউনিয়নে মির্জা মোঃ হুমায়ুন কবির, হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নে মোঃ মতিউর রহমান, পল্লব ভাট, এমদাদুল হক, বিলডোরা ইউনিয়নে মশিউর রহমান শাহীন, মোঃ উবায়দুল হক, শাকুয়াই ইউনিয়নে শামছুদ্দোহা সুইটি ও আতিকুর রহমান, নড়াইল ইউনিয়নে মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ধারা ইউনিয়নে মোঃ কামরুজ্জামান ও তালুকদার ফয়জুর রহমান খুশো, ধুরাইল ইউনিয়নে মোঃ শফিকুল ইসলাম লিটন, আমতৈল ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ খোকা, স্বদেশী ইউনিয়নে মুহাঃ আবু নাসের সরকার ও শাহজাহান স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন প্রার্থীদের মাঝে ভূবনকুড়ায় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জুগলিতে মোহাম্মদ মুক্তাদির আহসান, কৈচাপুরে ইফতেখার রসুল খোকন, হালুয়াঘাট সদরে মোঃ আব্দুল জলিল, গাজীরভিটায় মোশাররফ হোসেন, বিলডোরায় সুজন খান, শাকুয়াইয়ে মোঃ সাইদুল ইসলাম, নড়াইলে মানিক মিয়া, ধুরাইলে অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, আমতৈলে অ্যাডভোকেট তোফায়েল আলম সুজন।
ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে কাজ করছেন। আর তাতে সকলেই মনোনয়ন চাইতে পারে এটাই স্বাভাবিক। তবে দল যোগ্য ও ত্যাগী প্রার্থীদের অবশ্যই মনোনয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা ও নতুন প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি সব সময় তরুণদের প্রাধান্য দেয় এবং তরুণদের মধ্যে যারা জনপ্রিয়, যোগ্য ও ত্যাগী বিএনপি তাদের ব্যাপারে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। নেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। নির্বাচন কমিশন যদি শক্ত থাকে এবং সরকার যদি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপি ভালো ফলাফল করবে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার বারোটি ইউনিয়নেই জাতীয়পার্টি থেকে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ##