ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে গত একবছরে (২০১৮ সালে) ৩১১ জন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর লে. জেনারেল অনিল কুমার ভাট সোমবার গণমাধ্যমকে ওই তথ্য জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের সাথে (গত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সংঘর্ষে রাজ্যটিতে গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর ৮০ সদস্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি এসময় নিহত হয়েছেন ৭৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি।
এর আগের বছর ২০১৭ সালেও রাজ্যটিতে ৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তি ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৮০ সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
‘আলোচনা ছাড়া কাশ্মির সমস্যা সমাধানের পথ নেই’
এদিকে কাশ্মির প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘বন্দী মুক্তি কমিটি’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভানু সরকার বলেন,‘মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়ে কাজের সফলতা মাপা হচ্ছে, এর থেকে ভয়ংকর অমানবিক আর কিছু হতে পারে না! মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চোখ দিয়ে দেখলে যা হয় ঠিক তাই চলছে। ট্রাম্পকে যখন সিনেটে প্রশ্ন করা হয় সিরিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে সেনাবাহিনী রাখার যৌক্তিকতা কোথায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে থাকেন আমরা এত আইএস উগ্রবাদী হত্যা করেছি। এত এসব নির্মূল করেছি। নির্মূলের পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা তাঁদের সফলতা বোঝান। ভারতেও ঠিক একই জিনিস চলছে।’
তিনি বলেন,‘আমরা মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা চিরকাল বলে এসেছি কাশ্মির রাজনৈতিক সমস্যা। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার, লাখ লাখ মিলিটারি নামিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে, অসংখ্য মানুষকে গায়েব করে দিয়ে কাশ্মিরি স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করা যায়নি এবং এভাবে চলতে থাকলে তা কোনোদিনই দমন করা যাবে না। ফলে আমরা মনে করি এটা রাজনৈতিক সমস্যা। আলোচনা ছাড়া ওই সমস্যা সমাধানের বিকল্প কোনো পথ নেই। আমরা বন্দী মুক্তি কমিটি মনে করি আলোচনার মধ্য দিয়েই কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে হবে। কোনোরকম বন্দুক ব্যবহার করা যাবে না। অবিলম্বে কাশ্মির থেকে সমস্ত মিলিটারি, আধাসামরিক বাহিনীসহ যত প্রকার সেনাবাহিনী সেখানে আছে তাঁদের প্রত্যাহার করতে হবে, আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের সাথে সংলাপে বসতে হবে।’ সূত্র: পার্স টুডে