ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে এবার এক তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় নূরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে রোববার রাতে নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায়ও ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নূরকে আটকও করা হয়েছিল। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ধর্ষণের ঘটনা পরম্পরায় ভিপি নূরের নাম উঠে আসায় তাকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নূর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকী।
লালবাগ থানার মামলায় সোমবার নূরকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শারীরিক চেকআপ শেষে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ডিবি সূত্র বলছে, নুরুল হক নূরকে আটক করা হয়েছিল কিছু তথ্যের যাছাই-বাছাই করার জন্য। পরে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক চেকআপ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।