রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম অফিসের অফিস সহকারী গোলাম সামসুল হায়দার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি এবং যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন বিজ্ঞ আইনজীবি একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি।
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এজিবি কলোনীর সামনে দুষ্কৃতকারীরা গোলাম সামসুল হায়দারকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামসুলের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। সামসুলের স্ত্রীর অভিযোগ, সামসুল হায়দারকে অফিসিয়াল দ্বন্দের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ মো. আ. লতিফ, কাজল মিয়া, আনোয়ার হোসেন সরকার এবং মো. হাফিজুল হোসেনকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এরপর ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি মো. আব্দুল লতিফ, আনোয়ার হোসেন সরকার, মো. কাজল মিয়া, মো. হাফিজুল হোসেন ও বাবুল ওরফে তপন চক্রবর্তীকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অপর আসামি মো. শামসুল আলম ও রাজন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
পরে ২০১৫ সালে ওই মামলার আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেন।