এক গবেষণায় জানা গেছে, বর্তমান সময়ে প্রায় ৯০ ভাগ সংসার ভাঙার কারণ অন্যতম কারণ সন্দেহ ও পরকীয়া। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে পরকীয়া আসক্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, নতুন-পুরনো সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের তারতম্য, স্ত্রীকে রেখে স্বামীর বিদেশ গমনসহ অনেক সময় কৌতূহলের কারণেও পর পুরুষ বা নারীর প্রতি আগ্রহ জন্মায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পরকীয়ার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদসহ খুনের ঘটনা বাড়ছে।
বাংলাদেশ মেন’স রাইট ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. ফারুক শাজেদ বলেন, নারীর জন্য একতরফা আইন, চাকরি ও ইন্টারনেটের কারণে আধুনিক নারী স্বেচ্ছাচারী মনোভাব পোষণ করে থাকে। এছারাও ভরণপোষণের দায়িত্ব শুধু পুরুষের কাঁধে থাকার কারণে অনেক চাকরিজীবী নারী পুরুষকে আর্থিক সহযোগিতা করতে চান না।
এভাবে নারীর শৌখিন চাকরির কারণে অনেক সময় সংসারে অশান্তি তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে আকাশ সস্কৃতি, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের কারণে সমাজে পরকীয়া একটি সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। নারীর এসব পরকীয়ার কারণে পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে পরকীয়ার বিষবাষ্প। একটি লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর এক বস্তির বাসিন্দা আনোয়ার আলী (ছদ্ম নাম)। প্রতিদিন তিনি রিকশা চালিয়ে ঘরে ফেরেন মধ্যরাতে। মাসখানেক আগে রিকশা চালানোর সময় খানিকটা অসুস্থ বোধ করায় তিনি সন্ধ্যাতেই বাড়িতে ফেরেন। দরজা ধাক্কা দিতেই ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে সেই বস্তিরই এক যুবককে বেশামাল অবস্থায় দেখতে পান তিনি। আনোয়ার আলী ঘটনা বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করলে স্ত্রী এবং ওই যুবকটি তাকে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তার স্ত্রী বঁটি নিয়ে তেড়ে আসেন।
স্ত্রী হুমকি দিয়ে বলেন, এসব বিষয়ে কথা বললে কেটে বস্তায় ভরে নদীতে লাশ ফেলে দেয়া হবে। সংসার না করার হুমকিসহ মামলার ভয় দেখান ওই মহিলা। ঘটনা গুরুতর হলেও তিন সন্তানের জনক সবকিছু মেনে নিয়ে আতঙ্ক নিয়েই সংসারধর্ম পালন করছেন।