পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় ভোক্তা স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর শ্যামবাজার পেঁয়াজের আড়ত, যাত্রাবাড়ী পেঁয়াজের আড়ত ও মালিবাগ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও মাগফুর রহমান।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৪১টি টিম বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদারকিকালে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রশিদের গরমিল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য এবং ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। একইসঙ্গে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাক সেল) মনিটরিং করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অধিদপ্তর তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দেশে পেঁয়াজ, আদা, আলু, চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। তাই ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
সব ধরনের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীকে অবশ্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে।
ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে মর্মে জানান তিনি।