অর্থ আত্মসাত, সরকার বিরোধী কর্মকান্ডসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইবনে খালেদ মন্ডলকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় আবুল হোসেন এবং শরাফত আলী বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইবনে খালেদ মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্যালয়ে তদন্ত কমিটির লোকজন এসেছে। এতে এলাকার সম্মানহানী ঘটেছে। ইবনে খালেদ মন্ডল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে এখন প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছে বলে শুনতে পেয়েছি। তাকে প্রধান শিক্ষক করা হলে প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকহারে দুর্নীতি বেরে যাবে।
ম্যানেজিং কমেটির সদস্য শাহিন আলম বলেন, ২-৩ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইবনে খালেদ মন্ডল। সে কমিটির নেতৃবৃন্দের তোয়াক্কা না করে নানা অনিয়ম করেছেন। অর্থ আত্মসাত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারী বিরোধী পোস্ট, একজনের বেতন অন্যজনের নামে উত্তোলন করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছে। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশেদুজ্জামান বলেন, বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইবনে খালেদ মন্ডল প্রার্থী হওয়ায় জোষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ পরীক্ষায় পাঁচজন অংশ গ্রহণ করবেন। তবে তারা ইবনে খালেদ মন্ডলকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইবনে খালেদ মন্ডল বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে বিদ্যালয়ের নানা উন্নয়ন হয়েছে। এনিয়ে প্রতিহিংসা বসত একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। কিন্তু কোন কিছুর সত্যতা পায়নি। স্কুলের সকলেই তাকে চায় বলে তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বলেও জানান।
ত্রিশাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঝিল্লুর রহমান বলেন, যথা নিয়মেই বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অংশ গ্রহণ করবেন। এরমধ্যে উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও অংশ নিবেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে স্বচ্চ ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা সঠিক নিয়মেই হবে। এনিয়ে কাউকে প্রশ্ন তুলতে দেয়া হবে না।