খুলনায় হতদরিদ্র ১২৫০ শিক্ষার্থী পেলো মোবাইল ফোন

লেখাপড়া নিরবচ্ছিন্ন রাখতে খুলনার হতদরিদ্র এক হাজার ২৫০ শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছিল।

লেখাপড়ার এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পর্যায়ক্রমে টিভি, ইউটিউব ও ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ক্লাস এবং সর্বশেষে রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজও রেখে চলেছেন।
কিন্তু দরিদ্র পরিবারে মোবাইল ফোন না থাকায় অনলাইন ক্লাস থেকে প্রাথমিকের অনেক শিশু শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো। এ বঞ্চিত শিশুদের কথা ভেবে খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের উদ্যোগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে দরিদ্র শিশুদের মধ্যে মোবাইল ফোন বিতরণ শুরু হলো। এনার্জিপ্যাক এবং জি-গ্যাস এতে আর্থিক সহযোগিতা করছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশের মধ্যে খুলনাতেই প্রথম।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বুধবার দুপুরে সচিবালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ফোন বিতরণের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিশুদের লেখাপড়ার ক্ষতির পাশাপাশি ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে, শিশু শ্রমের ঝুঁকি বাড়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার প্রভাব যাতে শিশুদের ওপর না পড়ে সেজন্য সংসদ টিভি, বেতার ও অনলাইন পাঠদান অব্যাহত আছে। সব শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন না থাকা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধনিদের চেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুর সংখ্যা বেশি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনের গ্রহণ করা এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী সব জেলায় এমন কার্যক্রম চালু করতে জেলা প্রশাসকদের আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল আহমেদ।

Share this post

scroll to top