ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ১নং ও ২ নং ওয়ার্ডের ধুরুয়া,বরুনাকান্দা,কুরাটি তিন গ্রামের প্রায় ১ ৫ হাজার জনগণ গত কযেক বছর ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।সবচেয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২ নং ওয়ার্ডের জনগণকে।
এগ্রামের ছোট বড় ৭ টি রাস্তা পাকাকরন তো দূরের কথা গত কয়েক বছর ধরে এক কোদাল মাটি কাটা হয নি।ফলে রাস্তাগুলো থেকে মাটি সরে গিয়ে এখন ক্ষেেতের সাথে মিশে যাচ্ছ।বৃষ্টি হলেই রাস্তগুলো এমন কাদার সৃষ্টি হয় যে এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পাযে হেটে চলাচল করা দুরুহব্যাপার।ধুরুয়া গ্রামের কয়েকটি বেহাল রাস্তা যে গুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে।
রাস্তাগুলো হল,নান্দাইল পৈারসভার ৯ নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তা মোড় থেকে খাটিয়া বিলের পাড় হয়ে কুরাটি -বরুনাকান্দা ভায়া খালবলাবাজার হয়ে আঠারবাড়ির রায়বাজার পর্যন্ত। রাস্তাটি নান্দাইল অংশ খালপাড় থেকে ধুরুয়া হাফিজ ভুইয়ার বাড়ি পর্যন্ত বিশ বছর আগে সলিং করা হলেও রাস্তাটি আর সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলে সম্পূর্ণ অনুযোগী হয়ে পড়েছ। একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদায় ভরে উঠে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।এগ্রামের রাস্তার দূরাবস্থার কারণে কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত শস্য,ধান, শাক সবজি হাটবাজারে নিয়ে যেতে পারে না।বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীর স্কুল মাদরাসায় যেতে পারে না রাস্তার দুরাবস্থার জন্য। কোনো রোগীকে নান্দাইল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে নিতে হলে মাছা দিয়ে নিতে হয়।
স্থানীয় সাংসদ ইতিপূর্বে এ গ্রাম সফরকালে তিনি গাভতলা মাদ্রাসা থেকে কুরাটি খাল পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরন না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম হতাশায় ভুগছেন। সারা দেশে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এগ্রামে উন্নয়নের ছোয়া লাগে নি বলে গ্রামবাসীর কথা। ধুরুয়া মধ্যেপাড়া থেকে খাটিয়া বিলপাড় পর্যন্ত সলিং রাস্তা পর্যন্ত একটি নতুন রাস্তা না থাকায় মধ্যে পাড়া ছাত্রছাত্রীরা ধূরুয়া পাছপাড়া স্কুলে যেতে পারছে না।পাছপাড়ায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, ভোট কেন্দ্র রয়েছে।মধ্যে পাড়ার শত শত লোক ভোট দিতে বা ক্লিনিকে যেতে বর্ষাকালে সাতাঁর কেটে যেতে হয়। ধুরুয়া গ্রামটি নান্দাইল পৌরসভার লাগোয়া একটি গ্রাম হলেও গ্রামটির চেহারা দেখলে মনে কত যে অজোগায় একটি গ্রাম!
এগ্রামে একটি দাখিল মাদ্রাসা,প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাফিজিয়া মাদ্রাসা কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কোনো অবকাঠামোতে উন্নয়নের ছোয়া নেই। এব্যাপারে গ্রামবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট হাফেজ মিজানুর রহমান হারুন তালুকদাররর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এমপি সাহেব দুবার এ গ্রামে এসে বলে গেছেন ধুরুয়া মধ্যেপাড়া সামনের রাস্তাটি পাকা করে দিবেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের রাস্তাটি কেন হচ্ছে না তাতো বলা যাচ্ছে না? তিনি আরো বলেন বলেন আমরা সুসম উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ গ্রামের ইউপিঃ সদস্য আবুল হাসেমের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান আমার গ্রামের সবগুলো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী।একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার ফেক কাদার জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।তিনি আরো জানান ধুরুয়া গ্রাম নিয়ে একটি ওয়ার্ড, এ ওয়ার্ডে উন্নয়নের কোনো সরকারি বরাদ্ধ আসছে না।কাবিখা কাবিটার বরাদ্ধ নেই। কর্মসৃজনের টাকা এবার ফেরত গেছে উন্নয়ন কি দিয়ে হবে?