ময়মনসিংহের এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানাধীন মাজুখান এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টঙ্গীর পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার শান্ত ললিতকলা একাডেমির মালিক ও নাচ-গানের প্রশিক্ষক আব্দুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬) এবং মাদারীপুরের কালকিনি থানার হেনায়েতনগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে মো. শাহ আলম (৩৭)।
পূবাইল থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ ভিক্টিমের বরাত দিয়ে জানান, ভিকটিম কিশোরীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি মাজুখান এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা বেগমের বাসায় ভাড়া থেকে একটি টেইলার্স দোকানে কাজ করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাসার মালিক সেলিনা কৌশলে ভিকটিমকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করায় এবং বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন।
ওই কক্ষে আগে থেকেই আবু হানিফ এবং শাহ আলম অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে বদ্ধ ঘরে ওই কিশোরীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি আছাড় মেড়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হানিফ ও শাহ আলম ঘর থেকে বের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে অবস্থানরত আরও দুইজন ঘরে ঢুকে পরে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
রোববার মাজুখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ ও মো. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক সেলিনা পলাতক রয়েছেন।
পূবাইল থানার ওসি মো. নাজমুল হক ভূইয়া জানান, ১২ সেপ্টেম্বর ভিক্টিম বাদী হয়ে ওই ব্যাপারে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিক্টিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।