খুলনার শিরোমণি বিসিক এলাকায় সুগুনা পোল্ট্রি ফিডের সহকারী ম্যানেজার এম ডি তানভীর শান্ত তার রুমের মধ্যে খুন হয়েছেন। খুনীরা গুদামের অফিস রুমের ক্যাশ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি বিসিকের সাব ডিলার ডিপোর সহকারী ম্যানেজার তানভীর শান্তকে (৩০) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিকারীরা গোডাউনের মধ্যে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তারপর অফিস রুমের ক্যাশের তালা ভেঙ্গে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ডিপোতে মাল আনলোড করার জন্য একটি ট্রাক আসে। এরপর শ্রমিকরা তানভীরকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ডিপোর ম্যানেজার মো: মামুনুর রহমানকে মোবাইলে জানান।
মামুন ডিপোতে এসে প্রধান ফটকে দুটি তালার পরিবর্তে একটি তালা লাগানো দেখে পিছনের দরজায় গিয়ে ধাক্কা দেন। দরজা খুলে গেলে তিন শয়ন কক্ষের মধ্যে রক্তমাখা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।
ডিপোর শ্রমিকরা জানান, শান্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে নিয়মিত পড়তেন এবং খুবই শান্ত ও ভদ্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
ডিপোর ম্যানেজার মামুন জানান, ৫/৬ মাস আগে কোম্পানি তাকে নিয়োগ করে ডিপোতে পাঠায়। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় তার কাজ শেষে বাড়ি রূপসায় চলে যান। সকালে এসে তিনি ডিপোর প্রধান ফটকে দুটি তালার পরিবর্তে একটি তালা লাগানো দেখে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুক তার বিছনার উপর মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে মালামাল লোাড-আনলোড করার জন্য শ্রমিকদের পেমেন্ট বাবদ বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ীগেট পূবালী ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করে অফিসের ক্যাশে রাখা হয়। সকালে তানভীরকে তার কক্ষে মৃত অবন্থায় এবং অফিস রুমের ক্যাশ ভেঙ্গে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, শান্তর বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাঝা থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে। তিনি মাষ্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সোনালী সেন জানান, হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিক ভাবে প্রেমঘটিত অথবা সেখানে তাস খেলার কিছুর আলামত পাওয়া গেছে। তবে যারাই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা পূর্বপরিচিত এটা নিশ্চিত।
ডিপো থেকে টাকা লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি ডিপোর ম্যানেজার তাদেরকে কিছু জানাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে ভবনের মালিক ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জাড়িতদের দ্রুত সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ভারতীয়দের মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত।