সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হলেও নতজানু সরকার কোনো প্রতিবাদ করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটি বাড্ডার একটি মাদ্রাসায় হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাঁধার কারণে এটি নয়া পল্টনের কার্যালয়ে হয়।
রিজভী বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এতো করুন, দেশের সার্বভৌমত্ব এতো দুর্বল যে প্রায় দুইদিন-তিনদিন পরপর বর্ডারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। দেশের মানুষ রক্তাক্ত হচ্ছে। আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী)। বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে রক্তাক্ত সীমান্ত অঞ্চল হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সরকার এতোই নতজানু যে একটা প্রতিবাদও করতে পারছে না।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলে সীমান্তে মানুষ মারা যায় কিনা? অর্থাৎ এ কথাটার মধ্যে আপনাদের যে আনুগত্য কত হেয় টাইপের এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট।
বিএনপি সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নীতি হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশ, দূরবর্তী দেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। কিন্তু নিজের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে নয়। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য নিজের দেশের স্বার্থকেও বিসর্জন দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের একদিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে নিচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জামিন পাচ্ছে। এক দেশে আইনের দুইরকম প্রয়োগ হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে যখন এক মামলায় জজ খালাস করে দিলেন সেই বিচারককে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান বক্তব্য রাখেন। পরে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করা হয়।