মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম না মানে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্তদের এমপিও বাতিল করা হতে পারে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মাদ্রাসা বোর্ড থেকে জারি করা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা মাদ্রাসাগুলোর তাদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।
এবারও মফস্বল, পৌর ও মেট্রোপলিটন এলাকার বেসরকারি কলেজ মাদ্রাসাগুলোয় ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফিসহ ও ভর্তি ফি মিলিয়ে মোট ১ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। এছাড়া, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা ও ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এছাড়া, ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি দিতে হবে।
সরকারি মাদ্রাসাগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফি’র বেশি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব ফি রশিদের মাধ্যমে নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ বলেন, ‘যারা নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম লঙ্ঘন করলে, দায়ী শিক্ষকের এমপিও বাতিল হতে পারে বলেও তিনি জানান।