পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ শতাংশের বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।
সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সেতু দৃশ্যমান হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার। ৪২টি পিয়ারের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে এবং নদী শাসনের কাজ প্রায় ৮৪ শতাংশ শেষ হয়েছে।
মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও টোলপ্লাজার কাজও শেষ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন।
এ সময় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইনের সংশোধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন বিষয়ক বিষয়াদি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, এ বিষয়ে সরকারের কেনো বক্তব্য নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের কোনো বক্তব্য থাকলে সরকারও নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে ভবিষ্যতেও সংবিধান অনুযায়ী সরকার সহযোগিতা করবে, এটা সরকারের সাংগঠনিক দায়িত্ব।
নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন, যার মধ্যে বিএনপির প্রতিনিধিও ছিল।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনে বিএনপি সমর্থিত প্রতিনিধি আছে, বিএনপির আমলে কমিশন গঠনে কখনো আওয়ামী লীগের নাম নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন কিংবা বাতিলের এখতিয়ার সরকারের নয়, সময় হলেই রাষ্ট্রপতি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।