দুদিনের ব্যবধানে নতুন করে বৃহস্পতিবার ১০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে এগারোটার সময় ময়মনসিংহের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ পিজিসিবির টি-ওয়ান পাওয়ার ট্রান্সফরমারের সিটি এবং সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগার কারণে ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ময়মনসিংহ মহানগরীর বাসাবাড়িতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। রান্না ও ঘরের অন্যান্য কাজ করতে বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে মহানগরীর অধিকাংশ মার্কেটগুলোও ছিল অন্ধকারে। বাসা-বাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই রকম সমস্যার জন্য গ্রীডে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সেদিন থেকেই নগরীর বাসিন্দারা আলোক সংকটে ভূগছিলেন। দুদিনের ব্যবধানে এমন ঘটনা ঘটায় নতুন করে আরো সমস্যায় পড়ে নগরীর বাসিন্দারা। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের দোকানগুলোতে মোম সংকট থাকায় মোমের আলোর দেখাও পাচ্ছে না গোটা নগরীর লোকজন। ফলে অন্ধকারেই রাত কাটাতে হচ্ছে। এদিকে গরমের কারণে আরো কঠিন সময় পার করছেন নগরীর লোকজন। বাসা ছেড়ে ছাদে গিয়েও বাতাস মিলছে না। অনেকেই রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন। চায়ের স্টলে আড্ডা জমিয়ে সময় পার করছেন।
নগরীর নতুন বাজার এলাকার সিদ্দিকুর রহমান জানান, দোকানে গিয়ে মোমবাতি পেলাম না। বাসায় জেনারেটরও নাই। যেকারণে একটু সমস্যাতো হচ্ছেই।
আলীয়া মাদ্রাসা রোডের এক মনিহারি ব্যবসায়ী জানান, বিদ্যুত সমস্যা থাকায় প্রথমে মোমবাতির দাম বেড়ে যায়। পরে একসময় আর সাপ্লাই পাওয়া যায়নি।
এদিকে ময়মনসিংহের পিজিসিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক জানান, পুড়ে যাওয়া সিটি এবং সার্কিট ব্রেকার সচল করতে কাজ করছেন পিডিবি এবং পিজিসিবির কর্মীরা। আজ সারারাত কাজ করে শুক্রবার সকালের মধ্যেই পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে ধারণা করছি। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ঢাকার পিজিসিবির প্রধান কার্যালয়ের অপারেশন এবং মেইনটেনেন্স নির্বাহী পরিচালক মাসুম আলম বকশিকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।