সীমিত পরিসরের ক্রিকেট দিয়ে জাতীয় দলে এসেছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তবে ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার টাইগারদের হয়ে লাল বলের ক্রিকেটেও প্রতিনিধিত্ব করতে চান। রঙিণ পোশাকের মতো এখানেও চান থিতু হতে। সেই লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এ লেগ স্পিনার।
বুধবার নিজের ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে আমিনুল বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে লাল বলের ক্রিকেট খেলা। আমারও সেটা আছে। যদি কখনো সুযোগ হয়, নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’
ব্যাটসম্যান থেকে আমিনুলের লেগ স্পিনার হয়ে ওঠার গল্প মোটামুটি সবারই জানা। বয়সভিত্তিক দলে ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এইচপির কোচ সাইমন হেলমট নেটে আমিনুলের লেগ স্পিন দেখে মুগ্ধ হন। এরপর চলে ঘষামাজা।
গত সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে আফগানিস্তানের লেগ স্পিনারদের খেলার প্রস্তুতির জন্য তাকে জাতীয় দলের নেটে আনা হয়। নেটে তাকে দেখে ভালো লেগে যায় জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের। এরপর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই করেন বাজিমাত।
এসেছিলেন ধুমকেতু হয়ে। আগমনে আলো ছড়িয়েছেন আপন ছন্দে। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সম্ভাবনার সব উপাদান রয়েছে তার বৈশিষ্ট্যে। তাতে লেগেছে প্রতিভাবান ট্যাগ। তাকে নিয়ে শুরু হয় স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির লড়াই। সবকিছু ইতিবাচক থাকলেও ল্যান্ডিংয়ে ত্রুটি ছিল আমিনুলের। বিষয়টি ধরিয়ে দেন ভেট্টরি। আগের রান আপ থেকে কিছুটা রান আপ কমিয়েছেন আমিনুল। ল্যান্ডের আগে বড় লাফ দেওয়ার প্রবণতা ছিল এ পুচকে লেগ স্পিনারের। এখন লাফ দেওয়া লাগছে না।
দীর্ঘ লকডাউনে ফিটনেস ট্রেনিং ছাড়া কিছু করার ছিল না। ঐচ্ছিক অনুশীলনও হচ্ছে পৃথক। বোলিং করছেন একা একা। তবে ব্যাটসম্যান থাকলে অনুশীলন আরো জমাট হতো বলেই মনে করছেন এ তরুণ।
‘সাধারণত ব্যাটসম্যান ছাড়া বোলিং করলে যেটা হয় নিজের ব্যাপারে জানা যায় না। কিন্তু ব্যাটসম্যান সাথে থাকলে, তাদের বিপক্ষে বল করলে বোঝা যায় নিজের শক্তির জায়গাটা। কোথায় কোথায় বোলিং করতে হবে, কোন জায়গাগুলোতে ঘাটতি আছে।’
তবে ধীরে ধীরে পুরোনো রূপে ফিরে যেতে পারবেন বলে বিশ্বাসী আমিনুল, ‘লকডাউনে বোলিং নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয়নি। নিজের বোলিং ভিডিওগুলো দেখতাম কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করলে ক্রিকেট খেলতে গেলে ভালো হবে। আমরা যখন অনুশীলন শুরু করি, আমি লেগ স্পিন দিয়ে শুরু করি। এরপর আস্তে আস্তে গুগলি, ফ্লিপার এগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি। আশা করছি সামনে ভালো কিছুই হবে।’