গুঞ্জনটা বেশ কিছুদিন আগেই বের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে সেটার সত্যতা স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস) আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এর আগে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরপরই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছিলো- এই আসনটি ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের জেলা রংপুরের সদর ও শহরের আসনের (রংপুর-৩) পাশাপাশি ঢাকার গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস (ঢাকা-১৭) আসনেও প্রার্থী হন এরশাদ।
রংপুর-৩ মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদের বিপরীতে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও।
জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এরশাদের ঢাকা-১৭ ও রওশন এরশাদের ময়মনসিংহ-৭ ছাড়াও কয়েকটি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সরে আসার ব্যাপারে পার্টিতে আলোচনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৭ থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানীকে সমর্থন দিয়ে সরে গেছেন রওশন।
চিত্রনায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়ে এরশাদও বৃহস্পতিবার বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-১৭ আসন ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পার্টির ওই নেতা।