করোনামুক্ত হলেন পপ তারকা ফেরদৌস ওয়াহিদ। নগরীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি। এ তথ্য জানিয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদের ব্যক্তিগত সহকারী মোশাররফ আজমি।
গত ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। করোনামুক্ত হলেও শতভাগ সুস্থ নন শিল্পী। তবে আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো বলে জানিয়েছেন মোশাররফ আজমি।
গত ২০ আগস্ট জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন ফেরদৌস ওয়াহিদ। জ্বরের কারণে খাওয়া-দাওয়ার রুচি কমে যায়, ফলে শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। সেখানে দ্বিতীয় দফায় করোনা পরীক্ষা করানো হলে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাঁচদিন আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
৬৭ বছর বয়েসি এ সংগীতশিল্পী কয়েক বছর ধরে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নেওয়ার মধ্য দিয়ে গানের যাত্রা শুরু করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। পরবর্তীতে লোকসংগীতের তালিম নেন আব্দুল আলিমের কাছে। ক্লাসিক্যাল গানের তালিম নেন ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।
গান গাওয়ার পাশাপাশি নায়ক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। ‘আসামী হাজির’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। এটি পরিচালনা করেন দেওয়ান নজরুল। ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য গান হলো— ‘আমি এক পাহারাদার’, ‘শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘ওগো তুমি যে আমার কত প্রিয়’ প্রভৃতি।