হঠাৎ করেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বড়দিনের চমক হিসেবেই তার এ সফর।
প্রায় দুই বছর ধরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনকালে এই প্রথমবারের মতো ইরাকে গেলেন ট্রাম্প, ইরাকের প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে গেলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও ইরাকে গিয়েছিলেন।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পশ্চিমে আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেন এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) সদস্যরা পরাজিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান।
ঘাঁটিটির একটি হ্যাঙ্গারে ক্যামোফ্লেজ উর্দি পরা সৈন্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় আমাদের উপস্থিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য নয় এবং এটাকে স্থায়ী করার সংকল্প কখনোই ছিল না। এখন কিছু সেনা বাড়িতে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে।’
ইরাকে গত বছর আইএস পরাজিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ব্যাপক মাত্রার কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি, তারপরও ইরাকি বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও তাদের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দেশটিতে ৫ হাজার ২০০ জন মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।
হঠাৎ এ সফরে এসে ট্রাম্প ইরাকে তিন ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে তিনি জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে থেমে দেড় ঘন্টা অবস্থান করেন। এখানে ঘাঁটির একটি হ্যাঙ্গারে উপস্থিত কয়েক শ’ সেনার মধ্যে কয়েকজনের সাথে হাত মেলান ও ছবি তোলেন।
এরপর রামস্টাইন থেকে তিনি ওয়াশিংটন ফিরে যান।