নিবিড় পরিচর্যায় কেউ চাষ করেনা। কারও বশতবাড়ির আঙিনায়ও নয়। শখের বশে কেউ যত্নও নেয় না। তারপরও গ্রামের মেঠোপথে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে বুনোফুল দাঁতরাঙা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর পাড়, বাঁশঝাড় আর রাস্তার দুই ধারে দেখা যায় এ ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
দাঁতরাঙা ফুলের রঙ বেগুনি। কোনো গন্ধ নেই। পাতা দেখতে অনেকটা তেজপাতার মতো। গ্রামাঞ্চলে লুটকি বা ফুটকি হিসেবে পরিচিত এই গাছ। দাঁতরাঙার ছোট ছোট ফল হয়। এই ফল পাকলে আপনা আপনি ফেঁটে যায়। যা পাখি আর প্রজাপতির খাবার। ফল মুখে নিলে বা খেলে দাঁতের বর্ণ লাল হয়ে যায়। এ কারণেই গাছটির নাম হয়েছে দাঁতরাঙা।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, দাঁতরাঙা গাছের ওষুধি গুণ রযেছে। জোঁকের কামড় থেকে রক্ত বন্ধ করতে এ গাছের নির্যাস ব্যবহার হয়।
এছাড়া এটি কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে ব্যবহৃত হয়। দাঁতরাঙার পাতার নির্যাস মানবদেহের ক্যান্সার, হৃদরোগ রোধে সহায়ক। তাছাড়া এর পাতার রস আমাশয়, পেটব্যথা, বাত ও বাতজ্বর দূর করতে পারে। আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ব্যথা, চর্মরোগ ও ডায়রিয়া চিকিৎসায়ও দাঁতরাঙার ব্যবহার দেখা যায়।
কথিত আছে, যেখানে দাঁতরাঙা জন্মে সে এলাকা চা বাগান তৈরির উপযোগী। সে কারণে টি ইন্ডিকেটর বা চা নির্দেশক শ্রেণির উদ্ভিদ হিসেবে একে ধরে নেওয়া হয়।