সময় থামিয়ে রাখা যায় না কিন্তু একটি মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করে রাখা যায়। চাইলেই তা অনেক বছর পরও দেখতে পারেন মানুষ। ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করা সব মুহূর্ত ঐতিহাসিক নয়, কিছু মুহূর্ত খুবই হাস্যকর বা মানুষকে ঢের আনন্দ দেয়।
অনেক ফটোগ্রাফার জীবজন্তুর ছবি তুলতে পছন্দ করেন। তারা ঘুরে বেড়ান বন-বাদারে। এসব ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় পশুপাখির কিছু হাস্যকর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয়েছে।
পশুপাখির মজার মজার এসব ছবি নিয়ে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ‘কমেডি ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস’ নামে একটি প্রতিযোগিতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার এতে অংশ নিয়ে থাকেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বেশ কিছু হাস্যকর ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফটোফিচার।
মাথায় হাত রেখে বড় শিম্পাঞ্জির শরীরে হেলান দিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছে খুদে শিম্পাঞ্জি। ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন টম ম্যাঙ্গেলসেন
তৃণভোজী গন্ডার আনন্দের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে। পাশাপাশি প্রস্রাব করে যাচ্ছে নিজ আনন্দে। তবে তা যেন ফোয়ারার গতিতে বের হচ্ছে। আর তাতেই স্নান করছে একটি বক। ছবিটি তুলেছেন টিলাকরাজ নাগারাজ
পণ্ডিত শেয়ালের এহেন কাণ্ড দেখে কে আর হাসি থামিয়ে রাখতে পারে! অ্যালাসতাইর মার্সের তোলা ছবিটি গত বছর ‘কমেডি ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস’-এ অংশ নিলেও কোনো পুরস্কার পায়নি
দেখে মনে হচ্ছে কোনো মহাকাশচারী। কিন্তু সবই যে ভ্রম! কারণ বানরটির শরীরে তুষার পড়ায় এমন রূপ বদলেছে। জাপান থেকে ছবিটি তুলেছেন রো গ্যালিটজ
‘নদীতে স্রোত আসে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়’—টমাস মুরের উক্তিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ছবিটিতে। টেক্সমার তোলা ছবির প্রাণীটি কিযে দ্বন্দ্বে আছে তা কে জানে