জামালপুরের মেলান্দহে ৫ জন ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার সময় ওই পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ওই প্রতারকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মেলান্দহ উপজেলার মামা-ভাগিনা আলোকদিয়া এলাকার ঘোড়ামারা খালের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি জামালপুরের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন— দেশ নিউজের কার্ডধারী আব্দুল মান্নান (৩৫)। তিনি জামালপুর শহরের সাহাপুর গ্রামের জেহার আলীর ছেলে। ওই অনলাইনের ক্যামেরাম্যান কার্ডধারী শুকুর আলী (৩০)। তিনি ইসলামপুরের চর গোয়ালিনীর কান্দার চরের ইয়াকুব আলীর ছেলে। ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী হেলাল (৩৫)। তিনি মেলান্দহ পৌর এলাকার কান্দেব বাড়ি গ্রামের মাদ্রিস আলীর ছেলে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ড্রাইভার রুবেল (২০)। তিনি শেরপুর সদরের রামেরচর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে ও গাঁজা ক্রেতা মনিরুজ্জামান (২০)। তিনি মেলান্দহের মহিরামকুল গ্রামের সাঈদ মাস্টারের ছেলে।
মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল করিম খান জানান, ওই প্রতারক চক্রটি ওঁৎ পেতে থেকে মনিরুজ্জামানকে গাঁজা কিনতে পাঠায় জবেদ আলীর (৩৫) কাছে। গাঁজা বিক্রেতা জবেদ আলী মেলান্দহের মামা ভাগিনার আলোকদিয়া গ্রামের জসি সুতারের ছেলে।
এদিকে, গাঁজা কেনার সময় ওই প্রতারক চক্রের বাকি চারজন উপস্থিত হয়ে শুকুর আলীকে দিয়ে ভিডিও ক্যামেরায় ফুটেজ নিতে থাকে। এ সময় জবেদ আলীর স্বজনরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয় দেয় তারা। কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা মেলান্দহ থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, ১০ গ্রাম গাঁজাসহ ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ সাংবাদিকসহ নানা পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছিলেন। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তাদের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। শনিবার (২৯ আগস্ট) ওই প্রতারকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।