বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে তার পরিবার। যদিও বিএনপি কিংবা পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
তবে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সাথে যুক্ত একজন কর্মকর্তা ও একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘আবেদনের বিষয়টি স্বরাষ্টমন্ত্রীই মিডিয়াতে জানিয়েছেন।তারাও শুনেছেন।’
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে আবেদনপত্রে তার ভাই শামীম ইসকান্দারের স্বাক্ষর রয়েছে।
সূত্র জানায়, আবেদনে করোনাকালীন দূর্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি। পাশাপাশি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতায় কোনো পরীক্ষাও করা সম্ভব হয়নি।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে খালেদা জিয়ার দন্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। এর আগেই সরকারের কাছে নতুন এই আবেদন জানালো খালেদার পরিবার।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অফিস-আদালতসহ গণপরিবহন ও ব্যবসা-বানিজ্য প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত শারিরিক পরীক্ষাা-নিরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবেদনে তার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক গনমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাদের মতামত পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।