নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানসিক, স্নায়বিক ও কিছু (মাদক) ব্যবহারের ফলে ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের ৭৫ শতাংশের অধিক কোনো ধরনের চিকিৎসা পান না।
সেই সাথে এসব রোগীদের বিষয়ে লজ্জা, বৈষম্য, শাস্তিমূলক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এখনও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনাইটেড ফর গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ মানসিক ব্যাধি নিয়ে বাস করছে। প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ অ্যালকোহলের ক্ষতিকর ব্যবহারের কারণে মারা যায়। আর প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করছেন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস সামনে রেখে দেয়া বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, বর্তমানে সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত কোটি কোটি মানুষ। যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আরও প্রভাব ফেলছে এবং এটি গণস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম অবহেলিত বিষয়। কিন্তু তুলনামূলকভাবে স্বল্প মানুষই মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন।
এ বছরের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড ফর গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথের সাথে জোট বেঁধে ডব্লিউএইচও মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বিপুলভাবে বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আদানম গেব্রিয়াসোস বলেন, ‘বিশ্বকে একসাথে হওয়ার এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ঐতিহাসিকভাবে যে অবহেলা করা হচ্ছে তার নিরসন শুরু কারার এক সুযোগ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।’
‘আমরা ইতোমধ্যে মানুষের মানসিক সুস্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব দেখতে পাচ্ছি এবং এটা শুধুমাত্র শুরু। আমরা এখনই যদি মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে আন্তরিকভাবে অঙ্গীকার না করি তাহলে স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণাম হবে সুদূরপ্রসারী,’ যোগ করেন তিনি।
সূত্র : ইউএনবি