বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছেন মেসি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়কে পাওয়ার লড়াইয়ে এরইমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে বেশ কয়েকটি জায়ান্ট ক্লাব।
এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনরা নাকি মেসিকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির প্রস্তাবও দিয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’র রিপোর্ট অনুযায়ী, মেসির জন্য ৫ বছর মেয়াদী চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইংলিশ জায়ান্টদের মালিকপক্ষ নাকি মেসিকে ৩ বছর ইতিহাদে রাখতে চান। বাকি ২ বছর তাদের মালিকানাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব নিউইয়র্ক সিটি এফসিতে খেলাতে চান।
মেসি প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্টদের ঘরে যাবেন, এমন গুঞ্জন তার বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে। এরইমধ্যে নাকি সিটির বর্তমান বস ও সাবেক বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও শুরু করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দুজনের পুরনো সম্পর্ক এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেসির প্রিমিয়ার লিগে যাওয়ার সম্ভাবনার পালে নতুন লেগেছে গতকাল বুধবার তিনি ইনস্টাগ্রামে ম্যানসিটিকে ফলো করা শুরু করে দেওয়ার পর থেকে। অন্যদিকে ‘এএস স্পোর্টস’র রিপোর্ট অনুযায়ী, সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও আগুয়েরো নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডি ‘kunaguero10’ থেকে পাল্টে শুধু ‘kunaguero’ রেখেছেন। দেখার বিষয় হচ্ছে, মেসি ও আগুয়েরো দুজনেই পুরনো বন্ধু ও জাতীয় দলের সতীর্থ এবং দুজনের জার্সি নম্বরও একই (১০)।
মঙ্গলবার এক ব্যুরোফ্যাক্সের (প্রত্যায়িত পত্র) মাধ্যমে বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। কোনো ঝামেলায় না জড়িয়ে বিনা ট্রান্সফার ফি’তেই ক্লাব ছাড়ার অনুমতি চেয়েছেন মেসি। বর্তমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রতি মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সামনে। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ক্লজ কেবলমাত্র মৌসুম শেষের ২০ দিন আগে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। অর্থাৎ গত ১০ জুন শেষ হয়ে গেছে এই সুযোগ।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে মৌসুম শেষ হতে আগস্ট মাসের প্রায় শেষ পর্যন্ত লেগে যায়। নতুন মৌসুমও শুরু হয়নি। ফলে মেসি এই যুক্তি দেখিয়েই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যেতে চাইছেন। এজন্য সময়মতো বুরোফ্যাক্স পাঠিয়েছেন যেন প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়। কিন্তু বার্সা চাইছে আগের ক্লজ অনুসরণ করতে। অর্থাৎ মেসিকে যেতে হলে রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন পরিশোধ করতে হবে। তাদের যুক্তি, ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা চুক্তি এরইমধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। এই নিয়েই এখন আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।