কক্সবাজারে ওসি প্রদীপ কুমার দাস এর দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র আইনে ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন হয়েছে ।
১৬ আগস্ট রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা – ময়মনসিংহ হাইওয়ে রাস্তায় উপরোক্ত কর্মসূচী পালন করেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে ফরিদুলকে মুক্তি দেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যান ইউনিয়ন বসকো”র উদ্যোগে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান আল মামুনের নির্দেশনায় বাস্তবায়ন ও সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তপু ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপাটার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন বসকোর সহ- সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন, সাংবাদিক কামরুজ্জামান মিনহাজ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে রশিদ ও সাধারন সম্পাদক ফখরুল আহমেদ, সাংবাদিক নেতা সারোয়ার জাহান জুয়েল, বসকোর কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম , ত্রিশাল ষনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম জামাল উদ্দিন শামীম, এনামুল হক, আকরাম হাসান জীবন, আব্দুল আল ফকির, আব্দুল মালেক, মনিরুল ইসলাম মনির, মোমেন তালুকদার, ফারুক আহমেদ, মাসুদ মিয়া, জহিরুল কাদের কবির, রাকিবুল হাসান ফরহাদ, আলমগীর কবির, খোরশেদুল আলম মজিব, কাঞ্চন সরকার, সাংবাদিক নেতা সুমন ভট্টাচার্য, ও আরো অনেকে হোসেন প্রমুখ ।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘টেকনাফ থানায় টাকা না পেলে ক্রসফায়ার দিচ্ছে ওসি প্রদীপ’- শিরোনামে এবং ফরিদুল মোস্তফার নিজের সম্পাদিত স্থানীয় দৈনিক ‘কক্সবাজার বাণী’র অনলাইন ভার্সনে এবং ‘জনতারবাণী’ অনলাইন নিউজ পোর্টালে‘ মাদক নির্মূলের নামে মাদকের বিস্তার ঘটাতে ওসি প্রদীপ ও এসপির যে ভুমিকা রেখেছিলেন তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপরই তিনি প্রদীপের রোষানলে পড়েন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ৬টি মামলা করে । অকথ্য নির্যাতন করে ।
মানববন্ধনে সাাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের জেরে ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং দীর্ঘ ১১ মাস যাবৎ কারাগারে আটক থাকা এবং দুর্নীতিবাজ প্রদীপ কর্তৃক একের পর এক অপকর্ম তারমত দুর্নীতিবাজ অন্যদেরদেরকেও উৎসাহিত করবে।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ঘটনা স্বাধীন মতপ্রকাশেরও অন্তরায় । ফরিদুল মোস্তফা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া একজন সাংবাদিক নির্যাতনের বাস্তব অভিজ্ঞতা। নির্যাতিত হয়ে যিনি নিজেকেই মুক্ত করতে পারছেন না অর্থনৈতিক দৈন্যতায় । তিনি কি করে আইনের আশ্রয় পাবেন । ফরিদুল পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন উপরন্তু তিনিই এখন কারাগারে রয়েছেন ।
ফরিদুল মোস্তফাকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ওসি প্রদীপকে সাংবাদিক নির্যাতন ও মামলায় গ্রেপ্তার করা না হলে ভীষণ হতাশায় পড়বেন সাংবাদিক সমাজ । সাংবাদিকদের অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে । আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকতে হবে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং সহিংসতার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।