আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাত দিন পর চিফ অফ আর্মি, তিন মাস পর ডেপুটি চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর এবং ছয় মাস পর প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর হন। তার এই অগ্রগতি দেখলেই বুঝা যায়, তিনি (জিয়াউর রহমান) ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের আর্কিটেক্ট।
আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল শোকসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চপেটাঘাত দেওয়ার জন্য শাহ আজিজুর রহমানের মতো রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী ও শামসুল হককে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। রাজাকার আব্দুল আলিমকে মন্ত্রী করেছিলেন। এ সবের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা।
মন্ত্রী বলেন, নিজামী-মোজাহিদকে খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না। তিনি ২০০৯ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শেষ হতো না। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতো না। বিগত একযুগে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা হতো না।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনকে আমরা ফাঁসি দিতে পেরেছি। বর্তমানে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থান জানা গেছে। বাকী তিনজনের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে। আমরা নিশ্চয়ই তাদেরকে ফিরিয়ে আনবো।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সন্তান, যারা বঙ্গবন্ধুর কর্মী, যারা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশ সৃষ্টি করার জন্য সুফল লাভ করছি তারা কেউই বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো চলছে। কারণ ষড়যন্ত্র করার মানুষ এখনো আছে। আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।