১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন (এমকিউএম)। বলছে, মহাজির, সিন্ধি, বালুচ, পশতুন, অন্যান্য নিপীড়িত জাতি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বর্বরতার প্রতিবাদে দিবসটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজনীতিক আলতাফ হুসেন প্রতিষ্ঠিত এমকিউএম ‘কালো দিবসের’ প্রতিবাদ হিসেবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য বিদেশি ইউনিটগুলোতে গাড়ি সমাবেশ করবে।
এমকিউএমের এ ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ‘কালো দিবস’ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এমকিউএম বিদেশের ইউনিটগুলোর সংগঠকরা বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, প্যারা-মিলিটারি রেঞ্জার্স, সীমান্ত কনস্টাবুলারি এবং পাকিস্তানের অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনী দ্বারা মহাজির, সিন্ধি, বালুচ, পশতুন, অন্যান্য নিপীড়িত জাতি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অবৈধ গ্রেফতার, আটক, গুম-অপহরণ এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন এ দেশের একটি নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই রাষ্ট্রীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছিল। ১৪ আগস্ট রাতে ব্রিটিশ সরকার তাদের ইন্ডিয়ান ঔপনিবেশকে দুটি ‘ডমিনিয়ন’ ঘোষণা করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। সমালোচিত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত হওয়া পাকিস্তান গড়ে ওঠে ‘পূর্ব বাংলা’ ও ওপারের মূল পাকিস্তান নিয়ে।