গৌতম গম্ভীর। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ঠোঁটকাটা স্বভাবের। উল্টোদিকে যে-ই থাকুক না কেন, সোজা-সাপ্টা কথা বলতে কখনো পিছ পা হন না। কিছুদিন আগেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আক্রমণ করেছিলেন। এবার তার নিশানায় বিরাট কোহলি। সাম্প্রতিককালে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের মতো আক্রমণাত্মভাবে তার সমালোচনা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু এবার গম্ভীর যেভাবে বিরাটকে আক্রমণ করে বসলেন, তা কোনো অংশে কম নয়। কোহলির সাথে গম্ভীরের সম্পর্কের তিক্ততা অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে কারো অজানা নয়।
একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বিরাটকে তুলোধনা করলেন গম্ভীর। এমনিতেই ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় কোহলির আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা চলছেই। কেউ কেউ কোহলির আক্রমণাত্মক মনোভাবকে সঙ্গত, কেউ আবার ব্যাপারটাকে বাড়াবাড়ি বলছেন। গম্ভীর অবশ্য এক্ষেত্রে ধরি মাছ না ছুঁই পানি কায়দা অবলম্বন করলেন।
কোহলির আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”মাত্রা বজায় রেখে আগ্রাসন দেখালে কোনো ক্ষতি নেই। আমার কাছে আগ্রাসন মানে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত পর্যায় হলে মুশকিল। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়া মানে গোটা দেশের রোল মডেল বনে যাওয়া। এক্ষেত্রে আগ্রাসন বজায় রাখারা ক্ষেত্রে সীমা-পরীসীমার কথাটা মাথায় রেখে চলতেই হবে।”
ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলের অপসারণ প্রসঙ্গেও কোহলিকে একহাত নিলেন গম্ভীর। বললেন, ”ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার অধ্যায় ওটা। গোটা দল যদি কাউকে অপছন্দ করে তা হলে একজন কোচের সরে দাঁড়ানো শ্রেয়। তবে যদি দলের কোনো একজন কাউকে অপছন্দ করে তা হলে অন্য ব্যাপার। সেক্ষেত্রে যিনি অপছন্দ করেন তার স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপরীত দিকে থাকা মানুষটির সাথে বিবাদ মিটিয়ে নেয়া উচিত।”
এর পরই সরাসরি কোহলিকে আক্রমণ করে বসেন সদ্য অবসর নেয়া গম্ভীর। ”ভারতীয় ক্রিকেট দলের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশ। তাই ওর ইগো বিসর্জন দিয়ে মাঠে নামা উচিত। দেশের অধিনায়ক মানে কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতে হলে অনেক সময় অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়।”