করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় অনলাইন ভিত্তিক (ভার্চুয়াল) সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান তাঁর ফেইসবুক টাইম লাইনে আগ্রহী অংশ গ্রহণকারীদের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের সুবিধার্থে একটি পোস্ট দেন।
পোস্টে জানানো হয় যে, উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিতব্য এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের জন্য আগ্রহী অংশ গ্রহণকারীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে ইভেন্টের নাম ও প্রতিযোগিদের তথ্যাবলী প্রদান করে অথবা তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে ইভেন্টের নাম, নিজের নাম, পিতার নাম, শ্রেণি, রোল, বিদ্যালয়ের তথ্য কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে অংশ গ্রহণ করা যাবে।
এ প্রতিযোগিতা সফলতার সহিত শেষ করতে সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে নকলা উপজেলা পরিষদ মিয়নায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভুমি, সদ্য পদায়ন প্রাপ্ত ইউএনও) তাহমিনা তারিন, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, জেলা পরিষদের সদস্য ছামিউল হক মুক্তা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সংঙ্গীত প্রশিক্ষক বজলুর রশিদ ও তবলা প্রশিক্ষক আশীষ কুমার দাস, সংঙ্গীত প্রেমী প্যাড বাদক পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, কণ্ঠ শিল্পি ও সদর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হযরত আলী, সংঙ্গীত প্রেমী আব্দুল মোত্তালেব সিপন প্রমুখ।
ইউএনও জাহিদুর রহমানের পোস্টের মাধ্যমে জানা গেছে, ভার্চুয়াল এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান বা মুক্তিযুদ্ধের গান বা দেশাত্ববোধক গান বা গণসঙ্গীত সংগীত, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কবিতা আবৃত্তি এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ ৩টি ইভেন্টে ভাগ করা হয়েছে। আর ‘ক’ ও ‘খ’ ২টি গ্রæপে শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করবে। ‘ক’ গ্রুপে প্রথম শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপে ৮ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতা শুরু হবে ১২ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকে; আর প্রতিযোগিতা শেষ হবে দুপুর দেড়টায়।