বরগুনার বামনায় শত শত মানুষের সামনে এক এএসআইকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত বামনা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ আলী তালুকদার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে আজ দুপুরে তাকে বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এ ঘটনা ঘঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ মফিজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, “এএসআইকে চড় মারার ঘটনার তদন্তে সত্যতা পেয়েছি আমরা। তাই আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করি। এরই প্রেক্ষিতে বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরিশালের ডিআইজি অফিসের এক চিঠির মাধ্যমে বামনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (১০ আগস্ট) ভুক্তভোগী ওই এএসআইকেও বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেফতার ও কারাবন্দি শাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবির শনিবার (৮ আগস্ট) মানববন্ধন পন্ড করার সময় কর্তব্যরত ওই এএসআইকে চড় মাররেন বরগুনার বামনা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেন।
চড় মামার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বামনা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেনের সমালোচনা করেন অসংখ্য মানুষ। এতে ভাবমুর্তি নষ্ট হয় খোদ পুলিশেরও। ওসি ইলিয়াস হোসেন শত শত মানুষের সামনে যে এএসআইকে চড় মারেন তিনিও বামনা থানায় কর্মরত ছিলেন।