গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি ভবন থেকে ৯১ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। তবে কবে এবং কখন এ চুরির ঘটনা ঘটেছে তার পরিস্কারভাবে বলতে পারছেন না কেউই। সোমবার বেলা ১১ টায় ড. নূরউদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ উপলক্ষে ২৩শে জুলাই থেকে ৬ই আগষ্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তর বন্ধ ছিলো। রোববার সীমিত পরিসরে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর চুরির বিষয়টি আমাদের নজরে পড়ে। রাতে ক্যাম্পাসের ভেতরে ডিউটি থাকে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দীন আহমেদ বলেন. গোটা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে রাতে মাত্র ১০ জন আনসার সদস্য ডিউটি করেন। ৫৩ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এ নিয়ে কতবার কত লক্ষ বা কোটি টাকার মালামাল চুরি হলো এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ নিয়ে মোট ৩ বার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দুটি চুরির ঘটনা খুবই বড় আরেকটি ছোট।
এরআগে ৬০টি কম্পিউটারের হার্ডিস্ক চুরি হয়েছে। ভিডিও ফুটেছে চোরও শনাক্ত হয়েছে। পুলিশের কাছে দেয়ার পর অজ্ঞাত কারণে আর কোন খোজ হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়াকস তুহিন মাহমুদ বলেন, প্রায় অধকোটি টাকার মূল্যের ৯১ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে এমন খবর জেনেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, আমরা চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে ৯ই আগষ্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল,ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। কিন্ত এ সময়ের মধ্যে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০শে জুলাই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড, শাহজাহান লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০শে জুলাই থেকে ২৭ জুলাই তারিখের মধ্যবর্তী সময়ের যে কোনদিন যেকোন সময় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।