হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আশ্রব খান (৫০) মোটরসাইকেল আরোহী, অপরজন ৮ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকায় আব্দুল আলী চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হেমায়েতপুর থেকে আসা মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীত দিক আসা পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি সড়কের দক্ষিণ পাশে খালে পড়ে যায়। ওই পিকআপে একই পরিবারের দেড় মাসের শিশুসহ আরো ছয় সদস্য ছিল। দুর্ঘটনার সময় শিশু আব্দুল্লাহ খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দু’ঘণ্টা পর এলাকাবাসী, সাভার ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত আব্দুল্লাহ মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরতলা গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল জলিলের পুত্র।
জানা গেছে, আব্দুল জলিল সাভার ব্যাংক টাউন এলাকায় থাকেন। তিনি পরিবারকে কাছে রাখতে সাভার বাসা ভাড়া নিয়েছেন। মালামালসহ স্বপরিবারের মাগুরা থেকে পিকআপযোগে এ রাস্তা দিয়ে সাভার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা।
অপরদিকে, ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী আশ্রব খান ও তার সাথে থাকা আরেকজন গুরুতর আহত হন। আহত দু’জনের মধ্যে আশ্রব খানকে সাভারস্থ এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশ্রব খান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মিতরা আওরমাড়া গ্রামের আছালত খানের পুত্র। তিনি সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তার দোকানের কর্মচারীকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই কর্মচারীকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদ্বয়ের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।