জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার পানির কারণে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসি মানুষদের। তবে বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমাতে ত্রাণ বিতরণ কাজ অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার দশ লকাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে বাড়ি-ঘরে পানি থাকলেও অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানিবন্দি ও বাঁধে আশ্রয় নেওয়া নিম্নআয়ের মানুষ খাবার সংকটে পড়েছে। তাদের অভিযোগ পানিবন্দি এবং বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কর্মহীন অবস্থায় এক মাস অতিবাহিত করলেও মাত্র ৮/১০ কেজি চাল ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে তারা। আবার অনেক পরিবারের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। এসব পরিবারকে এক বেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এছাড়া বাঁধ, ব্রিজ, কালভার্ট ও উঁচু সড়কে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো খাবার সংকটের পাশাপাশি গরুর খাবার ও মলমূত্র ত্যাগে চরম সংকটে রয়েছে।
জামালপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যার্তদের মাঝে নিয়মিতভাবে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ত্রাণের যোগ্য সকলকে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, কয়েকদিন পানি কমলেও আবারও যমুনা নদীর পানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।