আসামের পশ্চিমে মুসলিমদের ভাষা ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলের মত হওয়ার কারণ, আসামের এই জিলা গুলি (কামরুপ, বরপেটা, চিরাং, বনগাইগাঁইগাও, গোয়ালপাড়া, ধুবরি, কোকরাঝার, দক্ষিণ সালমারা মানকাচর) বাংলাদেশের বৃহত্তম ময়মনসিংহের লাগোয়া এবং একই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষ। তাদের ধর্ম, ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সভ্যতা, আচার-ব্যবহার, চালচলন, এবং নৃতাত্ত্বিকসত্তা (ethnicity) অবিভাজ্য। একজন্যই ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় এইসব জিলা গুলি, এবং এর লাগোয়া পশ্চিমবংগের কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিদুয়ারপুর, কালিম্পং, এবং দার্জিলিংও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল।
আসামের রাজনীতি কয়েক দশক ধরে একই বৃত্তে ঘুরছে, ভাষা যার প্রধান অবলম্বন। অসমীয়া জাতীয়তাবাদীদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ‘বিদেশি’ বিতাড়ন যারা প্রধানত ‘বাংলাদেশি’। যেখানে বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলিম উভয়েই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সেখানে বাঙালি হিন্দুদের চেয়ে বাঙালি মুসলিমরাই বেশি ভুক্তভোগী ও ঘৃণার শিকার হয়েছে।