শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে পলাশ মিয়া (২১) নামে আরও এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পলাশ উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইশা উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ২ ছেলের মধ্যে বড় সন্তান।
শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় বিড়নের ঘাট ব্রীজপাড় এলাকায় পানির নিচ থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় পলাশের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহত পলাশ শুক্রবার ১২ টারদিকে বিড়নের ঘাট ব্রীজপাড়ে গোসল করতে গিয়ে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। দীর্ঘ্য প্রায় ১৮ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শনিবার সকালে তার মরদেহ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ জুলাই) জুমার নামাজের আগে পলাশ অনেকের সাথে গোসলের জন্য এ ব্রীজপাড়ে যায়। গোসল শেষে সবাই যারযার মতো বাড়ি ফিরে গেলেও পলাশ সকলের অজন্তে পানিতে ডুবে নিখোঁজ থাকে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও পলাশ তার বাড়িতে না ফিরলে, তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে নাপেয়ে পরিবারের লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী ও বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই গোসলের স্থানে পলাশকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এলাকাবাসী। রাত পর্যন্ত বন্যায় টুইটুম্বুর পানিতে তাকে খোঁজে না পেয়ে অবশেষে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসলেও ¯্রােতের কারেন তারা রাতে খোঁজাখুঁজির কাজ শুরু করেনি। তবে শনিবার সকাল ৬ টার দিকে তারা খোঁজাখুঁজি শুরুর করার মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় পলাশের মরদেহ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
পানিতে ডুবে যুবক নিখোঁজের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো, নকলা থানার ওসি আলমগীর হোসেন শাহসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানসহ দায়িত্বশীল অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।