জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য বোল্ডার অপসারণ করতে গিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন নাঈম শেখ (২২) নামের একজন ডুবুরি।
শুক্রবার দুপুর ২টায় যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে মেসার্স তারানা ঘাটে ডুব দেয়ার ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ডুবুরি নাঈমের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তারানা ঘাটের সর্দার জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার সময় তারানা ঘাট কর্তৃপক্ষ ঘাটে জাহাজ চলাচলের সুবিধার্থে ভৈরব নদে থাকা বোল্ডার অপসারণ করার জন্য (১০-১৫ ফুট পানির নিচে বোল্ডারে দড়ি বাঁধতে) পানিতে নামেন তিনজনের ডুবুরিদল। পানিতে ডুব দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনজন ডুবুরির দলের মধ্যে দুইজন পানি থেকে উঠে আসে। নাঈম শেখ পানি থেকে উঠে না আসায় ঘাট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অফিসে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ হওয়া ডুবুরিকে খুঁজতে শুরু করেন। নিখোঁজ হওয়া ডুবুরির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ হওয়া ডুবুরি নাঈম শেখের দুলাভাই আসলাম মোড়ল জানান, তার শ্যালক খুলনার রূপসা এলাকার মিল্কি দেয়াড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পানিতে নামল তিনজন নিখোঁজ হয়েছে একজন। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এমনকি পানি থেকে উঠে তার শ্যালকের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়েছে তারা।
ঘটনাস্থলে থাকা খুলনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদলের লিডার আবুল বাশার ফকির জানান, নাঈম শেখ নিখোঁজের সংবাদে বিকাল ৩টায় তিন সদস্যের ডুবুরিদল পানিতে নেমে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। ভৈরব নদে পানির স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকায় আমাদের উদ্ধার কাজ শেষ করতে পারিনি। উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে।