রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টেস্ট নিয়ে কেলেঙ্কারির মূলহোতা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
প্রতারণা মামলা তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
আবদুল বাতেন বলেন, প্রতারণা মামলাটির তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে র্যাবকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সাহেদসহ তিন আসামিকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের জাল-জালিয়াতি অভিযোগ তদন্ত করছিল ডিবি। সাহেদ ১০ দিনের রিমান্ডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে ছিলেন। ডিবিতে রিমান্ডের ছয় দিন শেষে বাকি চার দিন সাহেদ র্যাবের হেফাজতে থাকবেন।
র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাহেদের জালিয়াতির মামলার তদন্তভার এই সংস্থার (র্যাব) কাছে হস্তান্তরের অনুমোদন দেয়।
করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া প্রতিবেদন দেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে গত ৬ জুলাই অভিযান চালায় র্যাব। ৭ জুলাই র্যাব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় সাহেদকে।
১৩ জুলাই র্যাব মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে।
১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। ১৬ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত।
সাহেদ গ্রেফতারের পর ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর বেশির ভাগই প্রতারণার।