বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একজোট হয়েছে। যে আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী থাকছে না সেখানে হয় অন্য কোনো প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া বা নতুন করে তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একজোট হয়েছে। এ কথাটি আমরা দায়িত্ব নিয়েই বলছি। এখন এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। আমরা আশা করি, শেষ সময়ে হয়তো এ নির্বাচন কমিশন সম্বিত ফিরে পাবে, প্রশাসন তার সম্বিত ফিরে পাবে। আগামী ২৪ তারিখ থেকে মোতায়েন হওয়া সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সবাই তাদের দেশপ্রেমের পরিচয় দেবেন।’
বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, যে আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী থাকছে না সেখানে হয় অন্য কোনো প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হোক বা নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হোক। কারণ নির্বাচন কমিশন যাদের বৈধ করেছে আমরা তাদের মনোনয়ন দিয়েছি। ভুল আমাদের নয় তাই দায় নির্বাচন কমিশনের।
বিচার বিভাগ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচার বিভাগ আমাদের যে হারে প্রার্থিতা বাতিল করছে, সেগুলোকে আমরা কী বলব? একই আদালত একজনের পক্ষে এক রায় দিচ্ছে, আবার অন্যজনের পক্ষে দিচ্ছে ভিন্ন রায়। হাইকোর্ট থেকে আমি সুবিচার পাচ্ছি, সেটি কী করে বলব?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুজব ছড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা নাকি ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছি। আবার বলছেন, ‘বিএনপির টাকা নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়াচ্ছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এসব অনৈতিক কথা তিনি বলতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট বাক্স পুরো করবে। আবার একতরফা ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এসবে আর কাজ হবে না, জনগণ জেগে উঠেছে।’
সন্ত্রাস প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সন্ত্রাস আমরা করছি না। নির্বাচনের এই কয়দিনে তারা যে সন্ত্রাস করেছে, তা নজির হয়ে থাকবে। একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এ দুই সন্ত্রাস মিলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’