করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কেলেংকারিতে জড়ানো জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) চেয়ারম্যান হিসেবে ডা সাবরিনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি দ্রুতই এই মামলার চার্জশিট জমা দেবে।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এই তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, ‘সাবরিনার মামলা অনেক এগিয়েছি, শিগগির চার্জশিট দেয়া হবে। জেকেজির চেয়ারম্যান ছিল এমন ডকুমেন্ট আমরা পাইনি। সে ওখানে কনভেনার (আহ্বায়ক) ছিলেন।’
গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে তেজগাঁও থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সাবরিনার স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে।
জেকেজির কর্ণধার স্বামী আরিফুলের সঙ্গে মিলে করোনা পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা লুটেছেন বলে অভিযোগ উঠে চিকিৎসক সাবরিনার বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমে তাকে চেয়ারম্যান উল্লেখ করা হলেও তিনি বরাবরাই এই পদে থাকার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন। তবে, তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর ডা. সাবরিনাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।