অবশেষে দুমাস পর উদ্ধার হলো নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সেই সড়কের গাছটি । দীর্ঘ দুই মাস সড়কের মাঝে ভেঙ্গে পড়েছিলো একটি মরা গাছ । এ নিয়ে গতকাল “সড়কের মাঝে মরা গাছ সরাবে কে” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন । আর সড়ক থেকেও সরানো হয় মরা এই গাছটিকে ।
উপজেলা চন্ডিগড় বাজারে ব্যস্ততম এই সড়কের উপরে পড়েছিল বিশাল আকৃতির এই বৃষ্টি গাছটি । ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা ছোট-বড় যানবাহন গুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হত ।
অথচ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে হলেও দেখে না দেখার ভান করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা । অভিযোগ রয়েছে বিগত দুই মাসে বারবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানোর পরও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি তারা ।
চলতি বছরের ১৮ ই মে সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এর প্রভাবে সারাদেশে ঝড় বৃষ্টি হয় প্রচুর।
এই সময় ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভেঙ্গে পড়ে চন্ডিগড় বাজারে বিশাল আকৃতির একটি বৃষ্টি গাছ ।
এরপর থেকেই সড়কের মাঝেই পড়েছিল গাছটি । রীতিমতো সড়কে চলা যানবাহন থেকে শুরু করে সকলেরই নিত্যদিনের সাথীতে পরিণত হয় এই গাছ ।
এই অবস্থা তুলে ধরেই গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । প্রতিবেদন প্রকাশের একদিনের মাথায়ই সড়কের মাঝ থেকে গাছটি সরিয়ে ঝুঁকি মুক্ত করা হয় পুরো সড়কটিকে ।
রবিবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুর-কমলাকান্দা আঞ্চলিক পুরো সড়কটি এখন ফাঁকা কোথাও কোন গাছের পড়ে থাকতে দেখা যায়নি । মরা এই গাছটিকে কেটে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা । ফলে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রী ও যানবাহনগুলো এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা ।
এদিকে চিন্তার ভাঁজও দূর হয়েছে স্থানীয়দের মন থেকে । গাছটিকে সরিয়ে ফেলায় এখন তাদের চোখে-মুখে বইছে আনন্দের বন্যা ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম জানান, সংবাদটি দেখার পর তাৎক্ষণিক সড়ক থেকে গাছটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি । সড়কে দিয়ে যেনো যাত্রী ও যানবাহন গুলো কোন বাধা ছাড়াই চলাচল করতে পারে । আসলে আরো আগেই উচিত ছিল সড়ক থেকে এই গাছটিকে সরিয়ে ফেলার । কিন্তু সময় মতো কোনো খোঁজখবর না পাওয়ায় এতদিন গাছটি সড়কের মাঝেই পড়েছিলো ।