তাকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো’। পর্তুগিজ তারকার মতো ৭ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন জাতীয় দলে। সিআর সেভেনের মতো তাকে ‘এসএ সেভেন’ বলে অনেকে। কারণ তার নাম সানজিদা আক্তার। ময়মনসিংহের ধোবাউরার কলসিন্দুর গ্রামের বাসিন্দা সানজিদা জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার। ৬ ভাই-বোনদের মধ্যে তিনিই বেশি খেলায় আসক্ত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে তিন-চারটি পুরস্কার নিয়েই বাসায় ফিরতেন তিনি।
ফুটবলই তার ধ্যান-জ্ঞান। ফুটবলেই ক্যারিয়ার গড়তে চান। ফুটবল দিয়ে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে আনতে চান। তাই নাটকে অভিনয় বা বিজ্ঞাপনের মডেলিংয়ের লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের এই নারী ফটবলার।
যদিও বিশেষ অনুরোধের পর দুটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন তিনি। কিন্তু শোবিজে আর নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এমন লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার একমাত্র কারণ, ফুটবল ছাড়া নিজেকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখতে চাচ্ছেন না আপাতত।
নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া বিষয়ে সানজিদার বলেন, ‘আমি ফুটবলের বাইরে এখন অন্য কিছু ভাবতে রাজি নই। মনের বিরুদ্ধেই। ওই দুটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম, আর নয়। এখনও বিজ্ঞাপন-নাটকের প্রস্তাব আসছে। আমি বিস্তারিত না জেনেই ফিরিয়ে দিচ্ছি। অন্য কিছুতে জড়ালে খেলার ক্ষতি হবে। ফুটবল আর পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই আমার প্রধান লক্ষ্য।
২০১৩ সালে রাজশাহীতে বাফুফের ট্যালেন্ট হান্টিং ক্যাম্প থেকে নজরে পড়েন সানজিদা। ২০১৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পান সানজিদা। একই বছর এএফসির অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকায় সপ্তম হন। পরের বছর নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে ও সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়ন দলে খেলেন।
এরপর ভারতের শিলিগুড়িতে নারী সাফে খেলে জাতীয় দলে অভিষেক সানজিদার। তারপর থেকে নিয়মিত দলে আছেন।