শেরপুরের ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ, অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ঝিনাইগাতী-রাংটিয়া সড়কের দুপাশে ঘণ্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সর্বস্তরের সচেতন জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধনে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওইসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। তাতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। এখন তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন। তবে একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এমন সীমাহীন অভিযোগ থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক- যা সেই প্রতিষ্ঠানের জন্যও অমঙ্গলকর।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দাতা সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বেলায়েত হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের, সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম, সোহেল মিয়া প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খলিলুর রহমান একজন সীমাহীন দুর্নীতিবাজ, নিয়োগ ও সনদ বাণিজ্যকারী, অমানবিক জাল-জালিয়াতি, স্বাধীনতা বিরোধী, শিবির ও জামাতের তপ্লি বাহক, পাকিস্তান পন্থী, রাজাকারের দালাল। তার অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য তাকে দ্রæত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা। তাকে অপসারণ ও তার বিচার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে কলেজ অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কিছু লোক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।