ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের দাবি মিটাতে না পারায় রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়া হয় স্ত্রীর। এ ঘটনায় বুধবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ দায়েরের পর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের বাখড়িপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) সাথে বিয়ে হয় পাশের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরাইল গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে স্মৃতি আক্তারের (২৫)। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্মৃতির ওপর চলে অত্যাচার নির্যাতন। এ অবস্থায় স্মৃতির বাবার কাছে কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা এনে দেয়। এতেও স্বামী জাহাঙ্গীরের চাহিদা পূরন হয়নি। কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের যৌতুকের দাবিতে আবারও নির্যাতন শুরু করে এবং দুই লাখ টাকা না দিলে স্মৃতিকে তালাক দেওয়ার হুমকী দেয়। ওই অবস্থায় শুক্রবার স্মৃতি তাঁর বাবার পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব না বলে জানায়। স্ত্রীর এমন কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর রড দিয়ে পিটিয়ে স্মৃতির ডান পা ভেঙে দেয়। এ সময় স্মৃতির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে রাতেই থানায় অভিযোগ দায়েরের পর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. তানজিল এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে স্বামী জাহাঙ্গীরকে আটক করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।