শেরপুরের নকলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫ হাজার মিটার মাছ ধরার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করার পরে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জুলাই) উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় মোবাইল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রথমে এসব জাল জব্দ করে পরে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। বিনষ্টকৃত কারেন্ট জালের আনুমানিক মূল্য এক লাখ ৫ হাজার টাকা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা তারিন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা তাসনীম, ক্ষেত্র সহকারী হাফিজ উদ্দিন ও সুমনা আক্তার রীমা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আওতাধীন লিফগণ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগন ও নানান পেশা শ্রেণির জনগন উপস্থিত ছিলেন। কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পরে চন্দ্রকোনার মাছ বাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য জীবীদেরকে মৎস্য বিষয়ক সকল আইন মেনে চলার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা তারিন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা তাসনীম জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণে ভ্রাম্যমান আদালতের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাঁরা বলেন- ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে ধারন করে এবং ‘মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৎস্য সম্পদকে আরও সমৃদ্ধি করার লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ও সরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নিধন করলে বা মাছ ধরার অবৈধ কারেন্ট জাল সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রি করলে কাউক ছাড় দেওয়া হবে না, সে যেই হোক।