ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গামারীতলা, পোড়াকান্দুলিয়া, দক্ষিণমাইজপাড়া, ঘোঁষগাও, বাঘবেড়, ধোবাউড়া সদর, গোয়াতলা ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য পুকুর ও মৎস্যঘের বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন মৎস্য খামারিরা।
গামারীতলা ইউনিয়নের কামালপুর ও পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষজন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কলসিন্দুর থেকে রনসিংহপুর ও দুধনই পাকা রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া বেশীরভাগ কাঁচা রাস্তা পানির নিচে রয়েছে।
গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে কয়েকটি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ এর খুঁটি পড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাড়ির চারদিকে পানি থাকায় সাধারণ মানুষের রান্না-বান্নাও করতে পারছে না। গবাদিপশু নিয়েও পড়েছে বেকায়দায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, প্রায় ২০০ হেক্টর বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পানিতে নিমজ্জিত পুকুরের তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম জানান, বন্যায় পানিবন্দী মানুষকে শুকনো খাবার ও সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।