জামালপুরে দ্বিতীয় দফায় কড়া নাড়াচ্ছে বন্যা। শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও সমানে সমানে অবস্থান করছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিকেল ৩টায় বাহাদুরাবাদ ঘাটে বিপৎসীমায় পৌঁছে গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়ে বিপৎসীমার নিচে চলে যায় যমুনার পানি। কিন্তু গত তিন দিন ধরে উজানে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দ্রুত পানি বেড়ে বিপৎসীমায় চলে এসেছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লেও এখনো ১২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে ১ম দফা বন্যার ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই ১৫ দিনের মধ্যেই আবারও ২য় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
১ম দফা বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে কাঁচা শাক সবজির দাম এখনও আকাশচুম্বি। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্চে ৩০০ টাকার বেশি। বন্যায় কারণে গো-খাদ্যের চরম অভাব দেখা দিয়েছে। কমে গেছে গৃহপালিত পশু গরু ও ছাগলের দাম।
এদিকে বন্যার পানি আরও বেশ কয়েকদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, ভারতে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুতই যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী এই বৃষ্টিপাত আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ফলে যমুনার পানি বৃদ্ধি আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। এতে করে ১ম দফা বন্যার মতই পানি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।