বন্যাদুর্গত এলাকার সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এছাড়াও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জনসাধারণের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত এই স্কুল-কলেজের তালিকা ই-মেইলে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বন্যাদুর্গত এলাকার সব স্কুল-কলেজ সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে জরুরিভিত্তিতে খুলে দিতে হবে। স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসাররা ই-মেইলে (dsheflood2019@gmail.com) অধিদপ্তরে পাঠাবেন এবং আঞ্চলিক পরিচালক ও পরিচালকের কাছে অনুলিপি দেবেন’।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব পর্যায়ের দপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন’।
আর বন্যায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিষ্ঠানের ধরন, ক্ষয়ক্ষতির ধরন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত ছকে উল্লেখ করে ই-মেইলে (dsheflood2019@gmail.com) অধিদপ্তরের পাঠাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জেলা কর্মকর্তাদের।